সুন্দরবনে লাগা আগুন অবশেষে নিভেছে। বন বিভাগ বলছে, আজ শুক্রবার বনের ওই অংশের কোনো এলাকায় নতুন করে আর আগুন বা ধোঁয়া দেখা যায়নি। চার দিন ধরে ফায়ার সার্ভিস, বন বিভাগ, কমিউনিটি টহলদল (সিপিজি) ও স্থানীয় লোকজনের টানা চেষ্টার পর আগুন সম্পূর্ণ নেভানো সম্ভব হয়।
৩ মে সকালে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারানী টহল ফাঁড়ি এলাকার ২৪ নম্বর কম্পার্টমেন্টে আগুন লাগে। পানির উৎস দূরে হওয়ায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিস ও বন বিভাগকে। প্রায় তিন মাইল দূরের ভোলা নদী থেকে পাম্প করে পানি নিয়ে চলে আগুন নেভানোর কাজ। দুই দিন চেষ্টার পর মঙ্গলবার দুপুরে একপশলা বৃষ্টিতে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। সন্ধ্যায় আগুন সম্পূর্ণ নেভানোর দাবি করে কর্তৃপক্ষ। তবে বুধবার সকালে প্রথমবার আগুন লাগা স্থানের কিছুটা দক্ষিণে আবারও ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়। থেমে থেমে জ্বলে আগুনও। বন বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও সিপিজির সদস্যরা বুধ ও বৃহস্পতিবার দিনভর চেষ্টার পর ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আরও গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ অথবা সার্কুলারসমূহ পড়ুন—
- খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩
- কর কমিশনারের কার্যালয়-ঢাকা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
- বেসরকারী শিক্ষক ও কর্মচারীদের ফেব্রুয়ারী ২০২৩ মাসের বেতন ছাড়
- বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়াটার্স এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
সুন্দরবনে গতকাল সোমবার আগুন লাগার ঘটনা নিয়ে গত প্রায় দুই দশকে ২৩ বার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর আগের ২২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ‘৭১ একর’ বনভূমির নানা গাছ, গুল্ম-লতা পুড়ে গেছে। এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন সময়ে বন বিভাগের গঠিত তদন্ত দল নাশকতা, অসচেতনতা, অবহেলায় ফেলে দেওয়া বিড়ি বা সিগারেটের আগুনকে দায়ী করেছে।
২২ বারের অগ্নিকাণ্ডে ৭১ একর ৬৬ শতাংশ বনজ সম্পদের (সুন্দরী গাছসহ বিভিন্ন লতা-গুল্ম) পুড়ে যায়, যার আর্থিক মূল্য ১৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৩৩ টাকা বলে বন বিভাগ জানিয়েছে।