মন্ত্রিত্ব থেকে বহিস্কার ডাঃ মুরাদকে
নায়িকা মাহিয়া মাহিকে মোবাইল ফোনে অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং জোর করে তুলে নিয়ে হুমকির ঘটনায় ফেঁসে গেছেন তথ্য-সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান।
চিত্রনায়ক ইমন ও মাহির সঙ্গে কথোপকথনের রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দারুনভাবে তা ভাইরা হয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা ও প্রতিবাদের ঝড়।
গত সপ্তাহখানিক ডাঃ মুরাদ বিরোধী দলসহ নানাহ বিষয় নিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে আজেবাজে মন্তব্য করতে থাকেন। তার এহেন কর্মকান্ড নিয়ে তরুন সমাজ দারুণ ক্ষুব্দ হয়ে থাকলেও ক্ষমতার অপব্যাবহারের ভয়ে কেহই প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি।
গত কালকে সারাদেশে এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দারুন তোলপাড় ও সমালোচনা মুখরিত হলে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে খোদ প্রধানমন্ত্রী আদেশ প্রদান করেন।
তুমুল সমালোচনা
তারও আগে গত ১ ডিসেম্বর নাহিদ হেলাল নামে এক ইউটিউবার এর সঞ্চালনায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমান কে নিয়ে লাইভে বিতর্কিত মন্তব্য করেন ডাঃ মুরাদ। এরপর থেকেই সে ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয় তাকে নিয়ে সেই বিতর্কিত লাইভ এর উপস্থাপক নাহিদকে নিয়েও চলছে তুমুল সমালোচনা।
নেটিজেনদের এক অংশের বক্তব্য সেই উপস্থাপক ডাঃ মুরাদ কে উত্তেজিত করে জাইমা রহমানকে নিয়ে এইসব বিতর্কিত মন্তব্য করান। এ ঘটনায় মুখ খুলছেন নাহিদ।০৬ ডিসেম্বর রাতে নিজের ফেসবুক পেজে এক ভিডিওবার্তায় ডাঃ মুরাদ হাসান এর উপস্থাপক নাহিদ বলেন আমার লাইভ সেশনে তিনি কিছু উক্তি করেছেন সেগুলো বেসিক্যালি ওনার নিজস্ব মতামত।
সত্যিই লাজ্জাজনক
সত্যিই এগুলো খুবই লজ্জাজনক ছিল খুবই অপমানজনক ছিল। বিশেষ করে আমাদের নারী সমাজের জন্য যা ছিল খুবই খারাপ এবং আমি তা সমর্থন করি না।
আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম বিএনপি’র পরবর্তী নেতৃত্ব নিয়ে আপনার কোন কমেন্ট আছে কিনা? তার উত্তরে উনি হঠাৎ করে জাফর উল্লাহ সাহেবের ভাষণ দেওয়া শুরু করেছিলেন জাইমাকে নিয়ে অনেক অনেক বাজে বাজে কথা বলেছেন। যা ছিল খুবই খারাপ যা আমি কখনও সমর্থন করি না আমি তা আশা করিনি।
তিনি বলেন তবে আমি জানতাম তার ওই কমেন্ট স্টেটমেন্ট এর কারণে বড় একটা ইস্যু তৈরি হবে সারাদেশে। কিন্তু আমি তার সেই ভিডিওটি ফেসবুক থেকে ডিলিট করে দেইনি কারন উনি যদি খারাপ কিছু বলে থাকেন তার দায়ভার তাকেই নিতে হবে। তবে সবার রিয়ালাইজেশন দেখে আমার মনে হচ্ছে এ নিয়ে ওনাকে একটা সরি বলতে হবে এবং উনার একটা সরি বলা উচিত।
বিতর্কিত সেই লাইভের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে দিয়ে সরাসরি সরি বলার জন্য আরেকটি লাইভের আয়োজন করেন জানিয়ে এই উপস্থাপক বলেন ওই লাইভের পর সরি বলার জন্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে নিয়ে লাইভ এর আয়োজন করি।
এরপর গতকাল রাতে আবারো লাইভে আসার আগে আধাঘন্টা তাকে বুঝানো হয় তারপরও উনি সরি বলেননি। একপর্যায়ে লাইভ এর মধ্যে আমি নিজেই সরি বলি। এর পরের লাইভটিও ভালো ছিল না বলে আমি ডিলিট করে দিয়েছি এই বিষয়টাতে আমি খুশি হতে পারেনি।