সোমবার , ৭ জুন ২০২১ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. Jobs News
  2. TOP JOBS
  3. অনলাইন টিউটরিয়াল
  4. অপরাধ সংবাদ
  5. ইপিজেড নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
  6. গার্মেন্টস্ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
  7. গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. পরীক্ষার ফলাফল
  10. বিদেশে চাকুরি
  11. বিভাগীয় সংবাদ
  12. বেসরকারি চাকুরি
  13. ভাইরাল সংবাদ
  14. ভিডিও
  15. শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ

আম, জাম, লিচু, পেয়ারা, জামরুল তরমুজ ইত্যাদি মৌসুমী ফল কোনটিতে কী উপকার

প্রতিবেদক
বাংলা সার্কুলার
জুন ৭, ২০২১ ৬:৪৪ অপরাহ্ণ

গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় নানা ধরণের ফলমূল দেখা যায়। এই মাসে বিভিন্ন ধরনের রসাল ও মিষ্টি, সু-স্বাদু ফল বাজারে আসতে শুরু করে।

এ মৌসুমী ফলের পুষ্টিগুণ অনন্য। শারীরিক ও বয়সের অবস্থা অনুযায়ী নিয়মিত ও সঠিক মাত্রায় ফল খেলে তা শারীরের অনেক রোগব্যাধির ক্ষেত্রেও উপকারী। আবার যাদের কিডনির রোগ রয়েছে, তাদের ফলমূল খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হয়।

পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. খালেদা ইসলাম বলেছেন- ফলের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এটি রান্না না করে খাওয়া যায়। আর সব ফলের মধ্যেই পানির পরিমাণ থাকে। ফলে তা গরমের সময় শরীরের পানিশূন্যতা দুর করে।

”তিনি আরো বলেছেন, ফলে খাদ্যশক্তি থাকে, শরীর থেকে ক্ষতিকর চর্বি বের করে দেয়, তাই এ ফল সবার জন্য উপকারী। পুষ্টিমানের দিক থেকেও সব ফেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, খনিজ পদার্থ থাকে। বিশেষ করে রঙিন ফলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও লাইকোপেট থাকে, তা শরীরের ভেতরের ক্ষতিকারক পদার্থ দূর করে দেয় এবং ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে।

গ্রীষ্মকালে পাওয়া যায়, এমন কয়েকটি ফলের গুণাগুণ তুলে ধরা হলো:

ফাইল ছবিঃ আমের বাম্পার ফলন, বাজারে আমের সয়লাব

আম:

আম কে অনেকে ‘ফলের রাজা ফলের রাজা হিসেবে বলে থাকে। আম বিভিন্ন প্রজাতির হয় এবং একেকটার একেক রকম স্বাদ। আমের বিভিন্ন বাহারী নাম আছে-ফজলি, ক্ষীরশাপাতি, আশ্বিনা, হনভোগ, জিলাপিভোগ, লক্ষণভোগ, ল্যাংড়া,  গোপালভোগ, মিছরিভোগ, বোম্বাই ক্ষীরভোগ, বৃন্দাবনী, চন্দনী, হাজিডাঙ্গ, সিঁদুরা, গিরিয়াধারী, বউভুলানী, জামাইপছন্দ, রানীভোগ, দুধসর,  বাতাসা, মধুচুসকি, রাজভোগ, মেহেরসাগর, কালীভোগ, সুন্দরী, গোলাপবাস, পানবোঁটা, দেলসাদ, কালপাহাড়সহ প্রায় ৩০০ জাতের আম চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাওয়া যায় 

পৃথিবীতে প্রায় ৩৫ প্রজাতির আম আছে। আমের প্রায় কয়েকশ জাত রয়েছে। বাংলাদেশের এ সকল উন্নত জাতের আম চাষ রাজশাহী, দিনাজপুর, চঁপাইনবাবগঞ্জ ও যশোর জেলায় বেশি পরিমাণে আম উৎপাদন হয়ে থাকে। 

রসালো ফল আমের স্বাদ, পুষ্টি ও গন্ধ অতুলনীয়। বাংলাদেশে এপ্রিল থেকেই কাঁচা আম পাওয়া যায়। আর মে মাস থেকে পাকা আম আসতে শুরু করে।  জুলাই হতে অগাস্ট পর্যন্ত দেশীয় আম বাজারজাত হয়।

  • আম রক্তে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
  • ক্যান্সার কোষকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।  
  • আমে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ প্রোটিন যা জীবাণু থেকে দেহকে সুরক্ষা দেয়।
  • আমে রয়েছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। চোখের চারপাশের শুষ্কভাবও দূর করে।
  • কাঁচা আমের তুলনায় পাকা আমে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে।
  • কাঁচা আম দেহের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। লিভার সমস্যায় কাঁচা আম অনেক উপকারী।
  • এটি এসিড নিঃসরণ দ্রুত বাড়ায়। অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকে পরিষ্কার করে। দেহে নতুন রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে।
  • শরীরের আয়রন ঘাটতির জন্য ভালো উৎস আম। আমে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম ও আয়রন আছে।
  • এছাড়া সাইট্রিক এসিড, ম্যালিক এসিড, সেলেনিয়াম, এনজাইম , টারটারিক খনিজ লবণ, ভিটামিন বি, বিদ্যমান।
  • চুলপড়া, চোখের নানা রোগ, খসখসে চামড়া, হজমের সমস্যা দূর করতে আম কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়া এই ফলটি বলকারক, মুখরোচকও বটে।

কাঁঠাল:

কাঁঠাল বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার জাতীয় ফল। বাংলাদেশের জাতীয় এই ফলের প্রতিটি অংশই খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়।  

এভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গাছে গাছে ঝুলছে কাঁঠাল- ফাইল ছবি

বাংলাদেশের কৃষি তথ্য গবেষনার বর্ণনা অনুযায়ী, কাঁঠালে প্রচুর পরিমান এনার্জি।  শর্করার পরিমাণ বেশি। পাকা কাঁঠালের ক্যালরি প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৯০ কিলোক্যালরি এবং খনিজ লবণের পরিমাণ প্রায় ০.৯ গ্রাম। এটি গ্রীষ্মকালের ফল। কাঁচা কাঁঠালের ফাইবারের পরিমাণ পাকা কাঁঠালের বেশ কয়েক গুণ বেশি।

ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য কাঁচা কাঁঠাল উপকারী। কাঁচা কাঁঠাল রক্তে চিনির মাত্রা স্বাভাবিক রাখে। এতে আছে পটাসিয়াম, আয়রন, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ক্যালসিয়াম, , সোডিয়াম, জিঙ্ক সহ বিভিন্ন প্রকার পুষ্টি উপাদান। কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে শর্করা ও আমিষ জাতীয় ভিটামিন থাকায় তা মানবদেহের জন্য বিশেষ উপকারী।  কাঁঠালের প্রচুর ভিটামিন এ আছে যা রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপের উপশম হয়। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলে কাঁঠাল পাওয়া যায় তবে আশুলিয়ায় উৎপন্ন বেশী পরিমানে হয়।

এটি সমস্ত গাছের ফলের মধ্যে বৃহত্তম ফল এবং ওজনে ৫৫ কেজি (১২০ পাউন্ড) দৈর্ঘ্যে ৯০ সেমি (৩৫ ইঞ্চি) এবং ব্যাসে ৫০ সেন্টিমিটার (২০ ইঞ্চি) পর্য্ন্ত হয়ে থাকে।  কাঁঠাল অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল।  এতে আছে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন,  আয়রন, সোডিয়াম, জিঙ্ক এবং নায়াসিনসহ বিভিন্ন প্রকার পুষ্টি উপাদান। অন্যদিকে কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে আমিষ, শর্করা ও ভিটামিন থাকায় তা মানব দেহের জন্য উপকারী।

  • কাঁঠালে চর্বির পরিমাণ কম থাকায় এটি খাওয়ার কারণে ওজন বৃদ্ধি হয়না।
  • কাঁঠালে ম্যাঙ্গানিজ নামক খনিজ উপাদান বিপুল পরিমানে থাকায় রক্তে শর্করা বা চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
  • ১০০ গ্রাম কাঁঠালে ৩০৩ মিলিগ্রাম পটাশিয়ামথাকে।  পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এ জন্যে কাঁঠালে উচ্চরক্তচাপের উপশম হয়।
  • কাঁঠালে প্রচুর ভিটামিন এ আছে যা রাতকানা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • কাঁঠালের বিশেষ উপযোগিতা হল ভিটামিন সি। প্রাকৃতিকভাবে মানবদেহে ভিটামিন “সি” তৈরি হয় না। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দাঁতের মাড়িকে শক্ত করে ভিটামিন “সি”।
  • কাঁঠালে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় শরীরের ক্ষতিকর ফ্রির‌্যাডিকেলস থেকে রক্ষা করে।
  • টেনশন এবং নার্ভাসনেস কমাতে কাঁঠাল কার্যকরী।
  • বদহজম রোধ করে কাঁঠাল।
  • কাঁঠালে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়ামের মত খনিজ উপাদান থাকায় হাড়ের গঠন ও শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।
  • এতে ভিটামিন বি৬ যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
  • কাঁঠালে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম কেবল হাড়ের জন্য উপকারী যে তা নয় রক্ত সংকোচন প্রক্রিয়া সমাধানেও ভূমিকা রাখে।
  • ৬ মাস বয়সের শিশুকে মায়ের দুধের পাশাপাশি কাঁঠালের রস খাওয়ালে শিশুর ক্ষুধা নিবারণ হয়।
  • চিকিৎসাশাস্ত্র মতে প্রতিদিন ২০০ গ্রাম তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে গর্ভবতী মহিলা ও তার গর্ভধারণকৃত শিশুর সব ধরনের পুষ্টির অভাব দূর হয়।
  • গর্ভবতী মহিলারা কাঁঠাল খেলে তার স্বাস্থ্য স্বাভাবিক থাকে এবং গর্ভস্থসন্তানের বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়। দুগ্ধ মা পাকা কাঁঠাল খেলে দুধের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়।
  • এই ফল আঁশালো হওয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
  • কাঁঠালে খনিজ উপাদান আয়রন থাকায় দেহের রক্তাল্পতা দূর করে।

লিচু:

ফাইল ছবি

এটি অল্প সময় স্থায়ীত্ব গ্রীষ্মকালীন মেয়াদী ফল। এই ফলটি টিউমার রোধে বেশ ভূমিকা রাখে। রসাল এই ফলটিতে রয়েছে খাদ্য শক্তি, আমিষ, ক্যালসিয়াম, শর্করা, , লৌহ ও ভিটামিন-সি।

জাম:

টক মিষ্টি সুস্বাদু এই ফলটি বেশ জনপ্রিয়। জাম নানা দেশে নানা নামে পরিচিত, যেমন- জাম্বুল, জাম্ভুল, জাম্বু, জাম্বুলা, জাভা প্লাম, জামুন, কালোজাম, জামব্লাং, জাম্বোলান, কালো প্লাম, ড্যামসন প্লাম, ডুহাট প্লাম, জাম্বোলান প্লাম, পর্তুগিজ প্লাম ইত্যাদি। বাংলাদেশে প্রধানত দুই জাতের জাম পাওয়া যায়। জাতগুলি হলো ‘ক্ষুদি’ খুব ছোট জাত এবং ‘মহিষে’ বেশ বড় ও মিষ্টি। এ মৌসুমী ফলটি বর্ষাকালে পাওয়া যায়।

গাছে গাছে থোকা থোকা কালো জাম

অরুচি ভাব ও বমিভাব নিরাময়ে জামের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। জামের বীজ দিয়ে নানান রোগের আয়ুর্বেদী চিকিৎসা করা হয়, যেমন বহুমুত্র। জামের ভেতর আমিষ স্নেহ আঁশ ছাই  ক্যালসিয়াম ফসফরাস শর্করা, চর্বি, লৌহ, ভিটামিন-সি ও ক্যারোটিন থাকে।

এটি শরীরের হাড়কে মজবুত সহ আলসার ও ডায়রিয়া সংক্রমন রোধে ভূমিকা রাখে। জাম ত্বক টানটান করতে, স্মৃতিশক্তি বাড়াতে আর ডিটক্সিফায়ার হিসাবেও কাজ করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, জামের নির্যাস ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ফ্রি র‍্যাডিকেলের  বিকিরনের কাজে বাধা দেয়।

পেয়ারা:

পেয়ারা ফলটি বাংলাদেশে বার মাসই পাওয়া যায়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) উদ্ভাবিত ‘থাই-৩’ হাইব্রিড জাতের পেয়ারাসহ থাই-৫ ও ৭ জাতের পেয়ারা চাষ করেন তারা।

বাংলাদেশের শার্শা উপজেলাজুড়েই পেয়ারা চাষ হয়। তবে সবচেয়ে বেশি হয় বেনাপোল, ফুলসরাম, বাহাদুরপুর, ধান্যখোলা, কাশিপুর, বাগআচড়া ও বসতপুর এলাকায়।

তাজা পেয়ারার থোকা

এ মৌসুমী ফলটি এখন সারা বছর পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ৫১ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ১১.২০ গ্রাম শর্করা, ০.৯০ গ্রাম আমিষ, ১০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২১০ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি আর ১০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন থাকে। কারো কারো জন্য পেয়ারা অম্বলের তৈরি করলেও বেশিরভাগ মানুষের জন্য এই ফলটি উপকারী।

বাংলা সার্কুলারে আরো যা পড়তে পারেন

তরমুজ:

বাংলাদেশে পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা,  খুলনা, রাজশাহীতে তরমুজ বেশি পরিমান উৎপাদন হয়ে থাকে। তরমুজে প্রচুর পানি থাকে, তাই গরমের সময় শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে তরমুজ ভূমিকা রাখে। শরীরকে সুস্থ ও সতেজ করে তোলে। তরমুজে রয়েছে প্রচুর  রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

তরমুজের দাম এবার অনেক ছড়া

গুণাগুণ

গরমের ফল তরমুজে ভিটামিন এ, সি, বি ও পটাশিয়াম রয়েছে। এ ছাড়া এই ফলে রয়েছে লাইকোপেন ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট আছে। তরমুজে লাইকোপেনের নামক ভিটামিন থাকায় লাল টকটকে হয়ে থাকে। আর এসব উপাদানের উপকারিতাও কিন্তু বিশাল। গবেষণায় দেখা গেছে, তরমুজে থাকা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট স্ট্রোকের মতো ঝুঁকি কমায় আর উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তরমুজে ফ্যাটের পরিমাণ একেবারেই কম আর রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি। গবেষণায় তরমুজে থাকা উপাদানে কি কি উপকার পাওয়া যায়

  • রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অনেক কার্যকর
  • রোদের তীব্রতার প্রভাব কমাতে সহায়তা করে
  • ত্বক ও চুলের যত্নে তরমুজ উপকারী
  • শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টরেল কমানোয় হার্ট ভাল থাকে
  • তীক্ষ্ণ দৃষ্টির জন্য
  • ব্যায়ামের সুফল পেতে

তরমুজের পুষ্টিগুণ

এক কাপ পরিমান তরমুজের টুকরা খেলে প্রায় ৪৫ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। চিনি বা শর্করা, এক গ্রাম পরিমাণ আঁশ এবং শূন্য পরিমাণ চর্বি বা ফ্যাট ১০ গ্রামের মতো। শরীরের ভিটামিন এ–র ৭ শতাংশ ও ভিটামিন সির ২১ শতাংশ চাহিদা পূরণ করতে নিয়মিত তরমুজ খাওয়া যেতে পারে।

সফেদা:

অনেকে এ ফলটির সাথে পরিচিত নয়। কিন্তু গ্রামে গঞ্জে সাফেদা ফলের অনেক কদর রয়েছে। এতে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ ক্যালসিয়াম ও লৌহ খনিজ রয়েছে যা মানব দেহের হাড় ও দাঁত সুস্থ রাখে।

অনিদ্রা, উদ্বেগ, মানসিক চাপ কমাতে ও বিষণ্ণতা দূর করে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করে।  বহু পুষ্টি উপাদান রয়েছে ফলটিতে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, সি ও ই এবং ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, কপার ও আয়রনসহ বেশ কয়েকটি উপাদান সমৃদ্ধ এ ফলটি।

আমড়া:

টক ও হালকা মিষ্টি আড়া একটি লালায়িত ফল।

প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্য উপযোগী আমড়াতে ৬৬ কিঃ ক্যালরি খাদ্যশক্তি, ১৫ গ্রাম শর্করা, ১.১০ গ্রাম আমিষ, ৫৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৯২ মিলিগ্রাম ভিটামিন- সি, ৩.৯০ মিলিগ্রাম লৌহ ও ৮০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন ও ৮৩.২০ গ্রাম পানিয় অংশ রয়েছে।

এছাড়া রুচিবর্ধক, কফ নিবারক ও পিত্ত সংক্রমন হতে রক্ষা আমড়া যথেষ্ট উপকারী।

ফলের মিষ্টি শরীরের জন্য খারাপ নয়

এটি একটি ভুল ধারণা বলে বলছেন অধ্যাপক খালেদা ইসলাম। তিনি বলছেন, ফলের মিষ্টি চিনির মতো ক্ষতিকর নয়, কিন্তু এটিও শরীরে মিষ্টির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই হিসাব করে মিষ্টি ফল খেতে হবে। সাধারণ মানুষদেরও অতিরিক্ত ফল খাওয়া ঠিক নয়।

তথ্য সংগ্রহ:

https://www.bbc.com/bengali/news-57367472

https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%B2

সর্বশেষ - বিদেশে চাকুরি