বৃহস্পতিবার , ৩ জুন ২০২১ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. Jobs News
  2. TOP JOBS
  3. অনলাইন টিউটরিয়াল
  4. অপরাধ সংবাদ
  5. ইপিজেড নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
  6. গার্মেন্টস্ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
  7. গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. পরীক্ষার ফলাফল
  10. বিদেশে চাকুরি
  11. বিভাগীয় সংবাদ
  12. বেসরকারি চাকুরি
  13. ভাইরাল সংবাদ
  14. ভিডিও
  15. শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে জনমনে নানা বিভ্রান্তি

প্রতিবেদক
বাংলা সার্কুলার
জুন ৩, ২০২১ ২:১৮ অপরাহ্ণ
স্কুল-কলেজ আপাতত খুলছে না

কবে খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান? এমন প্রশ্ন এখন সকল অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মনে।

কেননা গত এক সপ্তাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে নানা রকম বিভ্রান্তিমূলক তথ্য।

শিক্ষামন্ত্রী নিজেই স্কুল-কলেজ খোলা নিয়ে দুই ধরনের বিবৃতি দিয়েছেন। একদিকে পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা দিয়ে একদিনের ব্যবধানে তিনি নিজেই আবার বলেছেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাই আমাদের আগে অগ্রাধিকার দিতে হবে। অর্থাৎ এক্ষুণি খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ গতকাল রোববার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ঈঙ্গিত দিয়েছেন ১৩ তারিখ স্কুল-কলেজ আপাতত খুলছে না। সরকারের মন্ত্রীদের এমন বিপরীত বক্তব্যে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে এক প্রকার অস্বস্তিকর বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

সংগৃহীত ছবি: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবীতে আন্দোলনরত শিক্ষাথীবৃন্দ

শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মণি গত ২৭ মে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আপনারা (সাংবাদিকরা) এ কথা নির্দ্বিধায় লিখতে পারেন ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। অর্থাৎ সবার আগ্রহের দিক বিবেচনা করেই শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের ফোকাসই ছিল ১৩ জুন সবার অপেক্ষার অবসান ঘটবে। অর্থাৎ খুলে দেয়া হবে স্কুল-কলেজ। একই দিন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনও সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ১৩ জুন প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেয়ার প্রক্রিয়া তারা শুরু করেছেন। ঠিক একদিন পর ২৮ মে শিক্ষা অধিদফতর থেকে স্কুল কলেজ খোলার প্রস্তুতি নিতে সব জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারকেও নির্দেশনাও দেয়া হয়। এরপর ২৯ মে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী তার একদিন আগের বক্তব্য থেকে সরে এসে বলেন, করোনার সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে না এলে স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত আমরা নিতে পারছি না। আমরা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি আগে অগ্রাধিকার দেবো।

গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে অদ্য পর্য্ন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে । কিন্তু এর মধ্যে দফায় দফায় বাড়ানো হয় ছুটি। প্রতিবার ছুটি বাড়ানোর পরপরই জানানো হয় এবারের ছুটি শেষ হওয়ার পরই খুলে দেয়া হবে স্কুল-কলেজ। দেশের উচ্চ পর্যায় হতে এ ঘোষণার ফলে ক্লাসে ফেরার জন্য উদগ্রীব হয় শিক্ষার্থীরা। কিন্তু পরে আবারও জানানো হয় ছুটি বর্ধিত করা হয়েছে।

আমাদের আরো গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ পড়ুন….

অভিভাবকদের অনেকেই জানান, স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় তাদের সন্তানদের শিক্ষাজীবন নিয়ে তারা রীতিমতো উদ্বীগ্ন। কেননা পড়ালেখার বাইরে থাকায় অনেক শিক্ষার্থী বিপথগামী হচ্ছে। চলতি পথে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে পুনরায় নতুন উদ্যোমে স্টাডি করতে যে কি কষ্ট একমাত্র শিক্ষার্থীরাই তা উপলব্দি করছে।  তারা স্কুলের শৃঙ্খলার বাইরে থাকায় তাদের বাবা-মায়েরা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ছে।  তাই যখনই স্কুল-কলেজ খোলার কোনো ঘোষণা তারা শুনতে পায় তখন আগ্রহ ও আশায় বুক বাঁধেন। কিন্তু পরে যখন আবার তারা পুনরায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার সংবাদ পান তখন আশাহত হন। অন্য দিকে দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার হারও ক্রমেই বাড়ছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিক্ষার্থীদের ব্যানারে প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানানো হচ্ছে। এমনকি প্রতিষ্ঠান না খুললে রাজপথে আন্দোলনেরও হুমকি দেয়া হচ্ছে।

ফাইল ছবি

অন্যদিকে শিক্ষকদের মধ্যেও প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি করা হচ্ছে। স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, সরকার মূলত শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে স্তমিত করতে বা দমিয়ে রাখতেই প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রেখেছে। তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় সরকারের সমালোচনা করে বলেন, গার্মেন্ট খোলা আছে, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা, চালু রয়েছে গণপরিবহনও। যথারীতি মার্র্কেট-শপিংমল খোলা আছে। অর্থাৎ বন্ধ নেই কোনো কিছুই। সবই খোলা আছে। উৎসব হচ্ছে, হচ্ছে নানা আয়োজন। কিন্তু বন্ধ শুধু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল-কলেজ। যদিও বলা হয় ‘‘শিক্ষা হচ্ছে জাতির মেরুদন্ড’’ । তিনি বলেন, শিক্ষার্র্থীদের দমিয়ে রাখতেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে ‘হল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দাও আন্দোলন’ আয়োজিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত এক ছাত্র-শিক্ষক সমাবেশে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি। সমাবেশে সংহতি জানিয়ে ড. আসিফ নজরুল আরো বলেন, শাসনের জন্য সরকার সবই করতে পারে, কিন্তু শিক্ষার জন্য করবে না। কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীদের দমিয়ে রাখা যাবে। তারা কোনো প্রতিবাদ করতে পারবে না। তা ছাড়া আর অন্য কোন কারণ থাকতে পারে না।

সর্বশেষ - বিদেশে চাকুরি

আপনার জন্য নির্বাচিত