বালুবোঝাই ট্রলারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে তিতাস নদীতে এ প্রাণহানি ঘটেছে
একটি বালুবোঝাই ট্রলারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে তিতাস নদীতে নৌকা ডুবিতে এ পর্যন্ত ১৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার তিতান নদীতে শুক্রবার সন্ধার কিছুক্ষণ আগে এ সংঘের্ষের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয় লোকজন উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।
ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও বালু বোঝাই ট্রলার সংঘর্ষ
স্থানীয় একটি সূত্রে জানা যায়, বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর নৌকার ঘাট থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। নৌকাটি বিজয়নগর উপজেলার তিতাস নদী পত্তন ইউনিয়নের লইছকা নামক বিলে বালুবাহী ট্রলারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
যাত্রীবাহী নৌকা উল্টে
সে সময় যাত্রীবাহী ইঞ্জিনচালিত নৌকাটির পেছনে আরেকটি বালুবোঝাই ট্রলার ছিল। পিছনের দিক থেকে আসা বালু বোঝাই ট্রলারটিও যাত্রীবাহী ইঞ্জিন চালিত নৌকাটিতে সজোরে ধাক্কা দেয়। মুহুর্তের মধ্যে নৌকাটি উল্টে যায় এবং নৌকাটিতে থাকা শতাধিক যাত্রী নিয়ে তাৎক্ষনিক ডুবে যায়। নৌকাতে থাকা অনেক যাত্রীই রয়েছেন নাকি যারা সাঁতার জানেন না। পিছন দিক থেকে আসা বালু বোঝাই ধাক্কা দেওয়া ট্রলারটি দ্রুত ওই স্থান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
১৯ জনের প্রাণহানী
রাত পৌনে আটটা থেকে নটা পর্যন্ত স্থানীয় লোকজন দুটি শিশু একজন তরুণ আটজন নারীসহ ১৯ জনের লাশ উদ্ধার করেন। স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে সদর থানা পুলিশ ফায়ার সার্ভিসের লোকজন উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। এ পর্যন্ত যাদের পরিচয় জানা গেছে তারা হলেন বিজয়নগর উপজেলার আজমপুরের পরিমল বিশ্বাসের স্ত্রী অঞ্জনা বিশ্বাস, জজ মিয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগম ও চম্পকনগরের মিনারা বেগম সহ আরো অনেকে যাদের নাম ও পরিচয় জানতে সময় লাগবে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক জানান
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সাংবাদিকদের বলেন নিহত ব্যক্তিদের পরিবারগুলোকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে। সাথে সাথে তিনি নৌ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান।