কাবুল বিমানবন্দরে লাখো মানুষের ভিড়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি
আফগানিস্থানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশারাফ ঘানির ভাই যোগ দিলেন তালেবানে। আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশ্রাফ ঘানিকে নিয়ে এমনিতেই অসুন্তুষ্ট সাধারণ আফগান বাসী। প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে যেভাবে তিনি দেশ ছেড়েছেন তা আফগান সাধারণ নাগকিরা তাকে বেইমান বলে আখ্যায়িত করেছেন। আফগানিস্থানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফঘানির ভাই হাসমতগণি তালেবানের সঙ্গে হাত মেলালেন এবং সমর্থন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
হাসমত গণি তালেবানে যোগদান
হাসমতগণি তালেবানে যোগদান করার অনেক ছবি সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হয়েছে। হাসমত গণি তালেবানে যোগদানের পর আফগানিস্তানে তালেবানের শক্তি বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করছেন অনেকেই। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী হাসমতগণি, আহমেদ জায়েদ, গ্রাম কাউন্সিল অফ হুজিস এর প্রধান ছিলেন।
প্রকাশিত ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায় তিনি তালেবান নেতা খলিলুর রহমান এবং ধর্মীয় নেতা মুফতি মাহমুদ জাকিরের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছেন। কয়েকজন নেতার মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছেন দাড়ি-গোঁফ কামানো এক ব্যক্তি দাবি করা হয়েছে তিনিই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হাসান আহমদ জায়েদ।
গুরুত্বপূর্ণ খবর দেখুন…….
- Skilled people are required for the post of Carpenter
- চলতি মাসেই আসছে এনটিআরসিএ এর গণবিজ্ঞপ্তি
- শিল্প মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
- বাংলাদেশ পুলিশ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
- বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন্ড অফিসার পদে নিয়োগ
তালেবান নেতা খলিলুর রহমান এবং মুফতি মাহমুদ জাকিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় নেতারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে হাসমত গণি তালেবান শাসনের প্রশংসাও করেছেন।
আমেরিকায় যাওয়ার গুজব
বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারলেই সরাসরি আমেরিকায় যাওয়ার গুজবে কাবুলের বিমানবন্দরে লাখ মানুষের ভিড়। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের hamid-karzai বিমানবন্দরের বাহিরে লাখো জনতা সবাই বিমানবন্দরে ঢোকার চেষ্টা করছেন। কিন্তু উচু প্রাচীর ও কাঁটা তার পেরিয়ে বিমানবন্দরে ঢোকা সহজ নয়।
গুজবে হুলুস্থুল কান্ড
বিমানবন্দরে বাইরে লোকমুখে খবর ছড়িয়ে ছিল যে বিমানবন্দরের ভিতরে ঢুকতে পারলে আমেরিকান বিমানের জায়গা পাওয়া যাবে। সে কারণে সবাই ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছে। সে কারণে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে যে, কাবুল বিমানবন্দরে বাইরে প্রায় 50,000 আফগান নাগরিক অপেক্ষা করছেন দেশ ছাড়তে। বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে আমেরিকান সেনাবাহিনী ও ব্রিটিশ বাহিনী।
প্রাচীরের উপর কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে বিমানবন্দরের চতুর্দিকে ঘেরা রয়েছে। আমেরিকার এক সাংবাদিক একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেখানে দেখা যাচ্ছে প্রাচিরে ওঠে কাঁটাতার ফেরোতে চাইছেন অনেকে। তাদের কোনো রকমে ঠেকানো যাচ্ছে না। আমেরিকান সেনাদেরকে অনেকে আবার কাতর হয়ে অনুরোধ করছেন, যাতে তাদের বিমানবন্দরের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়।
বিমানবন্দরে দুটি দরজা তালেবানের দখলে, ফলে ভিতরে ঢুকতে সমস্যা হচ্ছে শুধুমাত্র বিদেশী নাগরিকদের নিয়ে উড়ে যাচ্ছে বিমান। রোববার থেকে কাবুল পরিস্থিতি এরকমই চলছে।
দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছেন ঝুঁকি নিয়ে
হাজার হাজার মানুষ দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছেন ঝুঁকি নিয়ে বিমানের বাইরে ঝুলে দেশ ছাড়তে গিয়ে মৃত্যুও হয়েছে কয়েকজনের। বিমানবন্দরের ভিতরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালাতে হয়েছে আমেরিকান সেনাকে। এখন পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু তারপরেও দেশছাড়ার হিড়িক কমেনি।
বৈধ কাগজ দেখিয়ে দেশ ছাড়তে চাইছেন অনেকে। কেউ আবার আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের কাছে অনুরোধ করেছেন যাতে তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে চরম অরাজকতা কাবুল বিমানবন্দরের বাহিরে।