অষ্টম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী রোদেলা করোনা উপসর্গ নিয়ে মুত্যুতে শোকের ছায়া
করেনার উপসর্গ নিয়ে নিয়ে মৃত্যু হয়েছে অষ্টম শ্রেণীর এক মেধাবী শিক্ষার্থীর। ক্লাসের ফাস্ট গার্ল ছিল সে। সুবর্না ইসলাম রোদেলা নামের মেয়েটি প্রথমে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভোগছিল।
শোকের ছায়া সহপাঠিদের মাঝে
একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে পাগলপ্রায় তার মা-বাবা। শোকের ছায়া নেমেছে শিক্ষক ও তার সহপাঠিদের মাঝে। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে পাগল প্রায় তার মা। কোন শান্তনাতেই থামছেনা তার আহাজারি।
বিজ্ঞানী হতে পারলনা রোদেলা
মানিকগঞ্জ শহরের বেওথা এলাকার বশির উদ্দিন সামচ্ছুন্নাহার দম্পত্তির একমাত্র সন্তান সন্তান সুবর্না ইসলাম রোদেলা। তাকে ঘিরেই স্বপ্ন ছিল পুরো পরিবারের। মেধাবী মেয়েটির স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে বিজ্ঞানী হবে। তার মাঝে ছিল অনেক প্রতিভা, হঠাৎ তার এভাবে মৃত্যুতে সব শেষ হয়ে গেল।
তার মা বলেন ওর জীবনে কখনও সেকেন্ড হয়নি, শুধু ফাস্ট ফাস্টই ছিল। এখন কেমনে যে কি হয়ে গেল, অনেক চেস্টা করেও আমার কলিজার ধনটাকে বাঁচানো গেল না।
করোনায় প্রথম মৃত্যু স্কুল ছাত্রীর
মানিকগঞ্জ এস কে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। রোদেলা সবশেষ স্কুলে যায় ১৫ সেপ্টেম্বর। তখন সে পুরোপুরি সুস্থ ছিল। ২০ সেপ্টেম্বর থেকে হঠাৎ ঠান্ডা জ্বর। চিকিৎসা চলছিল বাসাতেই। দুদিন পর হঠাৎ শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে নেয়া হয় স্থানীয় একটি হাসপাতালে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাযর কুর্মিটোলা হাসপাতালে আনার পথে মৃত্যু হয় তার।
স্থানীয় মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাঃ মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন- রোগীর অবস্থা এতটাই ক্রিটিকেল ছিল যে, রোগীর আর্টিফিসিয়ালের জন্য কোন টাইম ছিল না, যেহেতু তার অক্সিজেন লেবেলটা ৮৭% মত ছিল। রোগীর আইসিউ লেবেল হসপিটালে রেপার করা হয় ১৫ মিনিটের ভিতরে।
কাঁদিয়ে গেল শিক্ষকদের
রোদেলার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। রোদেলার শিক্ষিকা আরজু খানম বলেন আসলে এটা বুঝাতে পারবনা যে, আমরা কতটা মর্মাহত। একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যু আমাদেরকেও কাঁদিয়ে গেল। আমরা কোন ভাষায় এটা বুঝাতে পারব না।