আজ থেকে খুলছে গার্মেন্টস্ সহ শিল্প কারখানা
অসম্বভকে সম্ভব করতে ঢাকামুখী মানুষের স্ত্রোতে দিশেহারা শ্রমজীবি মানুষগুলো। ফেরিতে সীমাহিন ভোগান্তির পর ট্রাকে চেপে গন্তব্যে ছুটছেন অনেকেই। কয়েকগুন বাড়তি ভাড়া আর ভোগান্তিকে নিয়তি মেনেই ফিরছেন কর্মস্থলে।
মালিকদের স্বার্থে শ্রমিকদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলায় কড়া সমালোচনা করেছেন ঢাকায় ফেরা মানুষগুলো। নীতিনির্ধারকদের চাপিয়ে দেয়া এমন সিদ্ধান্তের খোব জানিয়েছেন তারা।
১ আগস্ট বেলা ১২ টা পর্য্ন্ত গণপরিবহন চালু
রপ্তানীমুখী শিল্প কারখানার শ্রমিকদের ঢাকায় আসার জন্য কয়েকঘন্টার জন্য গণপরিবহন চালুর অনুমতি দিয়েছে সরকার। শ্রমিক পরিবহনের জন্য বিভিন্ন রুটে বাস ও লঞ্চ চলাচল করবে। গতকাল রাতে সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে এ খবর জানানো হয়েছে। শ্রমিকদের সুবিধার্থে ১ আগস্ট বেলা ১২ টা পর্য্ন্ত গণপরিবহন চালু থাকবে।
ফেরিঘাটে উপচেপড়া ভীড়
মানিকগঞ্জে ফেরিঘাট থেকে যমুনা টিভির সাংবাদিক খোরশেদ বলেন- মানুষের চরম দুর্ভোগ দেখিছি। দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ফেরিঘাটে হাজারো যানবাহনের দীর্ঘ সারি অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু এখানে সকাল ৯টার দিকে তেমন কোন যাত্রী নেই।
কারণ হচ্ছে যে, এখান থেকে যদি এ সময়ে ঢাকায় রওয়ানা হয় তাহলে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা সময় লাগতে পারে। ফলে যাত্রীদের সকাল ভোরে যে উপচেপড়া ভীড় লক্ষ করা গেছে তা এ মুহুর্তে নেই। গণপরিবহন দুপুর ১২ টার পর আর চলতে পারবেনা সরকারের ঘোষণা থাকায় এর প্রধানতম কারণ।
ভোলা ফেরিঘাট থেকে এম এ জাহিদঃ যাত্রীদের সাথে কথা বলে যেটি জানা যায় দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে নৌ-চলাচল। সড়ক পথে যেটি রয়েছে সেটিও নৌ-ফেরি পার হয়ে চলাচল করতে হয়।
হঠাৎ করে কর্মস্থল খুলে দেওয়ার ফলে হাজার হাজার মানুষ ফেরিঘাটে প্রচন্ড হুড়াহুড়ি করে ফেরিতে যে পরিমাণ ধারণ ক্ষমতা ছিল তার চাইতেও কয়েকগুন বেশি ধারণ করে ওপারে রওয়ানা দিয়েছে। সরকার যদি আরো আগে ঘোষণা দিয়ে রাখত তাহলে যাত্রীগণ স্বাভাবিক কর্মস্থলে ফিরতে পারত।
সদরঘাট থেকে রাব্বি সিদ্দিকী জানান- গতকাল রাতে লঞ্চ চলবে এ সিদ্ধান্ত অনেক মানুষই জানতনা। সকালে এখন পর্য্ন্ত এখানে দুর পাল্লার কোন লঞ্চ এখনও ভিড়েনি। তবে এখান থেকে চাঁদপুর বা দেশের অন্যান্য অঞ্চলে লঞ্চ ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। যেহেতু ঢাকামুখী মানুষের ভীড় সেহেতু অন্য দিকে যাত্রার মানুষ কম।