আফগানদের জীবনযাত্রা
সেতু পেরিয়ে নতুন ইসলামিক আমিরাতে ঢুকছিল মালবাহী কার্গো ট্রেন। আফগানিস্থান উজবেকিস্তানের সীমান্তে উদ্বেগ। পতাকার সাথে উড়ছিল তালেবানের সাদা কালো পতাকা। প্রতিবছর হাজার কোটি ডলার পরিমাণ ব্যবসা-বাণিজ্য হয়ে থাকে এই সীমান্তে। এখন তালেবানের হাতে কিছু ব্যবসায়ী তালেবানের ক্ষমতায় ফিরে আসাকে স্বাগত জানিয়েছেন। বাণিজ্য ব্যাপকভাবে কমেছে, কারণ আফগান আমদানিকারকরা অর্থ দিতে পারছে না।
আদিবাসী জাতিগোষ্ঠী চতুর্থ বৃহত্তম শহর মাজার শরীফ থেকে এক ঘন্টার ড্রাইভ দূরত্বে মানুষের জীবনযাত্রা মনে হল স্বাভাবিক। তবে অনেকে অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছেন বলে জানিয়েছেন। ঐতিহাসিক মসজিদ, এটি শহরের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের প্রাণকেন্দ্র। কিছুদিন আগে অগাস্ট মাসে তখনও তালেবানের সব দখল করেনি। এখন তালেবান লিঙ্গ ভেদে আলাদা সময়সূচী ঠিক করে দিয়েছে নারীরা সকালে আসবেন আর পুরুষরা দিনের বাকি সময়। তখন সেখানে নারীর সংখ্যা খুবই কম দেখা গেল.
স্থানীয় প্রভাবশালী তালেবান নেতা হাজী হেকমতের কাছে আপনাদের সমালোচকরা বলছেন আপনার এখনকার সংস্কৃতিকে হত্যা করছেন না পারার ক্ষমতা সরকারের ইসলামী পরিবর্তন করছেন কেন যে সংস্কৃতি এখানে আছে সেটির সমস্যা কোথায় সবাইতো মুসলিম?
বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছে
মসজিদ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় এখানে বড় একটি জটলা দেখতে পাচ্ছি, এখানে চারটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে, একজনের পরিচয় হিসেবে লিখে রাখা হয়েছে অপহরণকারীরা। সর্তকতা ছিল অন্য অপরাধীদের প্রতীক। শাস্তি হবে এমন দৃশ্য দেখে অনেকেই এখানে জড়ো হয়েছেন। তাদের কাছ থেকে একদল শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। আফগানিস্তানের বড় শহরগুলোতে সহিংস দীর্ঘকালের সমস্যা। এখন তালেবানের সমালোচকরা বলছেন নিরাপত্তা বেড়েছে।
তবে শহরের অনেকেই আবার নিরাপদ বোধ করেন না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আবার খুলেছে। তালেবানদের নতুন নিয়ম অনুযায়ী শ্রেণিকক্ষের ছেলে ও মেয়েদের এখন থেকে মাঝখানে পর্দা দিয়ে আলাদা বসতে হবে।
নীতি পরিবর্তন
পাহাড়তলী গ্রামে মহিলা যে পড়াশোনা শেষে চাকরী করতে পারবেন কিনা, তখন কেমন লাগে? এর আগে যখন তালেবান ক্ষমতায় ছিল তখন নিয়ম-নীতি আরো কঠোর ছিল। তবে এবার হয়তো তাদের কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। কারণ আফগান শহরগুলো অনেক বদলেছে। দেশটির ওপর তালেবানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আছে, কিন্তু এখনও তাদের বহু মানুষের হৃদয় জয় করা বাকি।
