প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে ভূমিকম্প মঙ্গল গ্রহে। পৃথিবীতে এমন ভূমিকম্প কয়েক মিনিট স্থায়ী হলে প্রাণহানি ঘটতো লাখ লাখ মানুষের।
মঙ্গল গ্রহ, মার্কিন মহাকাশ গবেষনা, নাসা, ইনসাইড,
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মনুষ্যবিহীন মহাকাশযান ইনসাইড গত ১৮ সেপ্টেম্বর অতিতের মত লালগ্রহের সমভূমিতে নীরবে বসে ছিল। হঠাৎ করে সেখানে ভুমিকম্প শুরু হয়। এটি স্থায়ী হয় প্রায় দেড় ঘন্টা যার মাত্রা ছিল ৪.২ এতদিন তারা যে ঘটনার অপেক্ষায় ছিলেন তা ঘটে গেছে।
ইনসাইডারের পাঠানো তথ্য অনুসারে এই ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫.২ মাত্রা। বহুদিন ধরেই নাসার বিজ্ঞানীরা ভূমিকম্পের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন কারণেই বড় ধরনের ভূমিকম্প বিজ্ঞানীদের সাহায্য করতে পারবে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে মঙ্গল গ্রহে ছোট ছোট ভুমিকম্পের আভাস শোনার পর থেকেই এমন একটি বড় ভূমিকম্প পর্যালোচনা অপেক্ষায় ছিলেন নাসা বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞান, ভূমিকম্প, NASA
সম্প্রতি আরও বড় দুটো ভূমিকম্প হয়েছে মঙ্গলে এনিয়ে গত এক মাসে তিনবার লালগ্রহের ভূমিকম্পের প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ২৫ আগস্ট রোবটটি দুটি ভূমিকম্পের সংকেত পাঠায় তার একটি ৪.২ মাত্রার এবং অপরটি ৪.১ মাত্রার। এর আগে রোববার সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প খবর ছিল ২০১৯ সালে।
মঙ্গল গ্রহের ছোট ছোট ভূমিকম্পের চাইতে বড় ভূমিকম্পের সংখ্যা কম বলে মনে হচ্ছে।কিন্তু এই ভূমিকম্পের ক্ষমতা সবকিছু বিবেচনায় ২০১৯ সালের ভূমিকম্পর চেয়ে ৫ গুণ বেশি শক্তিশালী।
২০১৮ সালের নভেম্বরের মঙ্গল গ্রহে ইনসাইডার’-এর পাঠানোর ছবি ও তথ্য থেকেই মঙ্গল গ্রহে ভূমিকম্প সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। ইনসাইডার এখন পর্যন্ত মঙ্গল গ্রহের সাত শতাধিক ভূমিকম্প শনাক্ত করেছে।
মঙ্গল গ্রহের অভ্যন্তরীণ কাঠামো সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছে যতটা ভাবা হয়েছিল তার চেয়ে মঙ্গলের পুরত্ব পৃথিবীর চাইতে অনেক পাতলা। অনেক জায়গায় ভাঙগা আছে।
REF: DBC NEWS