আরেক নতুন দিগন্ত উম্মোচিত হলো রাজধানী ঢাকা বাসীর
আজ বেলা ১১ টা ৫০ মিনিট সময়ে ডিপো থেকে বেরিয়ে ঢাকার পথে স্বপ্নের মেট্রোরেল। মিনিট দুয়েক বাদেই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ শুরু। আওয়ামী লীগ সেক্রেটারী সেতু ও যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সবুজ পতাকা হাতে নিয়ে মেট্রো ট্রেনটিকে জংশনের দিকে এগিয়ে যেতে সংকেত দেন। অগ্রযাত্রার এই পথের সারথি রাজধানীবাসী দীর্ঘদিনের জমে থাকা আকাঙ্ক্ষা আর অপেক্ষা।
শুরু হলো আনুষ্ঠানিক ট্রায়াল রান
শুরু হলো আনুষ্ঠানিক ট্রায়াল রান। এরপর কয়েক ধাপ পার হলেই স্বপ্নটা ধরা দেবে রাজধানী বাসীর হাতে। রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল ২০.১ কিলোমিটার এই পথে থাকবে ১৬ টি স্টেশন। এরপর আরও দেড় কিলোমিটার পথ যুক্ত করবে কমলাপুর পর্যন্ত। প্রথম দিনের আনুষ্ঠানিকতায় উত্তরা উত্তর, মধ্য উত্তরা-দক্ষিণ পেরিয়ে সর্বশেষ গন্তব্য পল্লবী ষ্টেশন।
পারফরম্যান্স টেস্ট
প্রথম ছয় মাসে এই পারফরম্যান্স টেস্ট, ৩ মাসের সমন্বিত ট্রায়াল ও ৫মাসে যাত্রীবিহীন পরীক্ষা শেষে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলবে। আর এই কর্মযজ্ঞ শেষে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ২০২২ এ বিজয়ের মাসে।
সেতু মন্ত্রী আরও বলেন
সমালোচকরা সমালোচনা করবে, অপপ্রচার করবে কিন্তু আমরা জবাব দেব কাজ দিয়ে। আগামী বছর জুনে আমরা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করব। এরপর কর্ণফুলি শেখ মুজিবুর রহমান টার্মিনাল এবং বছর শেষে আমরা শেখ হাছিনার অগ্রাধিকার প্রকল্প তিনি নিজেই শুভ উদ্বোধন করবেন।
এক নতুন অগ্রযাত্রার শুভসূচনা
প্রথমদিনের পারফরম্যান্স টেস্টের গতি ছিল ২৫ কিলোমিটার। শেষ পর্যন্ত পূরো সার্ভিস পেতে অপেক্ষা করতে হবে আসছে বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত। মেট্রো রেলের প্রথম যাত্রা দেখতে উৎসুক জনতার দৃষ্টির সীমানায় স্বপ্নের মেট্রোরেল উত্তরা দিয়াবাড়ি ডিপো থেকে ১১:৫২ মিঃ যাত্রা করে প্রথমে উত্তরা উত্তর, পরে উত্তরা সেন্টার হয়ে পৌঁছায় উত্তর-দক্ষিণ স্টেশনে।
ধীরে ধীরে এগিয়ে আসতে থাকে মিরপুর পল্লবী স্টেশনের দিকে। আশপাশের সুউচ্চ ভবনের ছাদে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষমান মানুষদের হুইসেল বাজিয়ে ট্রেনের ভেতর থেকে হাত নেড়ে এলাকাবাসীকে শুভেচ্ছা জানান পরীক্ষামূলক যাত্রায় অংশীদারেরা। এলাকাবাসী ও ফেটে পড়েন উল্লাসে। আর চুপিসারে নয় অনেকটা ঢাকঢোল পিটিয়ে হুইসেল বাজিয়ে রাজধানীবাসীকে অভিবাদন জানিয়ে গেল স্বপ্নের মেট্রোরেল।
সোয়া ১২টার দিকে ট্রেন পৌঁছায় মিরপুর পল্লবী স্টেশনে। এরপর কিছুক্ষন অপেক্ষা শেষে ট্রেন আবার ফিরতি যাত্রা করে উত্তরা দিয়াবাড়ি ডিপুর উদ্দেশ্যে। মেট্রোরেলের চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন আশার সঞ্চার করেছে রাজধানী বাসীর মনে।
বৈদ্যুতিক ট্রেনের যুগে বাংলাদেশ
পাশাপাশি বৈদ্যুতিক এ ট্রেনের যুগে বাংলাদেশের এ প্রবেশ কে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা হিসেবে দেখছে সাধারণ মানুষ। যদিও এ স্বপ্নযাত্রার পূর্ণতা পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছু সময়। তবুও আজকের এই পরীক্ষামূলক যাত্রা বার্তা দিয়ে গেল উন্নয়ন-অগ্রগতি আর সম্ভাবনায় অপ্রতিরোধ্য এক বাংলাদেশের।