শনিবার , ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. Jobs News
  2. TOP JOBS
  3. অনলাইন টিউটরিয়াল
  4. অপরাধ সংবাদ
  5. ইপিজেড নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
  6. গার্মেন্টস্ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
  7. গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. পরীক্ষার ফলাফল
  10. বিদেশে চাকুরি
  11. বিভাগীয় সংবাদ
  12. বেসরকারি চাকুরি
  13. ভাইরাল সংবাদ
  14. ভিডিও
  15. শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ

২৪ ঘন্টা নজরদারিতে থাকবে সোশ্যাল মিডিয়া

প্রতিবেদক
বাংলা সার্কুলার
সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১ ৮:৫২ পূর্বাহ্ণ
২৪ ঘন্টা নজরদারিতে থাকছে ফেইসবুক টুইটার ইউটিউব হোয়াটসঅ্যাপ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ওয়েবসাইটে কনটেন্ট ও আপত্তিকর বিষয়গুলো সরানো

২৪ ঘন্টা নজরদারিতে থাকছে ফেইসবুক টুইটার ইউটিউব হোয়াটসঅ্যাপ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম

সার্বক্ষণিক নজরদারিতে বিশেষ একটি মনিটরিং সেল গঠন করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি। ফেইসবুক টুইটার ইউটিউব হোয়াটসঅ্যাপ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম ও ইন্টারনেট ২৪ ঘন্টা নজরদারিতে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার।  

‘‘সাইবার সিকিউরিটি’’

বিটআরসি কর্তৃক ‘‘সাইবার সিকিউরিটি’’ সেল নামে একটি নিয়ন্ত্রণ কমিশন গঠন করা হয় গত কিছুদিন পূর্বে। এতে ভাইরাল হওয়া নেতিবাচক কোনো লিং, কনটেন্ট বা ভিডিও আপলোড করা হয় তা দ্রুত অপসারণ করা যাবে এ সেল এর মাধ্যমে।

সরকার ওয়েবসাইট, ব্লগ পোস্ট, পেজইজবুক পোস্ট ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকার ও রাষ্ট্র বিরুধী বিভিন্ন রকম আপত্তিকর কনটেন্ট সব সময় নজরদারিতে রাখতে চায় বলে টেলিযোগ সংস্থাটি জানায়।

তাছাড়াও সামাজিক সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক ধর্মীয় ও উসকানিমূলক উগ্রবাদী কনটেন্ট সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখতে কাজ করবে এ  সেল।

তার আগে গোয়েন্দা সংস্থা সরকারি নিয়মিত যে কোন সংস্থা বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিজেদের প্রয়োজন হলে বিটিআরসির নিকট অনুরোধ জানালেপর তখন  ভিডিওগুলো বা নিউজগুলো ওয়েবসাইট হতে অপসারণ করা হতো।

কনটেন্ট মনিটরিং ও ব্যবস্থাপনায় সাইবার সিকিউরিটি সেল

এ সেল গঠনের ফলে বিটিআরসি এখন থেকে সহযোগী এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা শুরু করবে।  শ্যামসুন্দর আরও বলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সাইবার জগতের কনটেন্ট মনিটরিং ও ব্যবস্থাপনায় সাইবার সিকিউরিটি সেল গঠন করা হয়েছে।  প্রথম পর্যায়ে আমরা কাজ শুরু করেছি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে কাজ শুরু করবে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য যে গত এক বছরে ১৮ হাজার ৮৩৬ আপত্তিকর ফেসবুক লিংক বন্ধ করার অনুরোধ জানায় সরকার। এর মধ্যে ৪৮৮৮ টি ফেসবুক লিংক বন্ধ করা হয়েছে। ৪৩১ ইউটিউব লিংক বন্ধ করার অনুরোধে কর্তৃপক্ষ ৬২টির সাড়া দিয়েছে।  

আমরা অসহায়

গত কিছুদিন পূর্বে বিটিআরসির মন্ত্রী মোস্তফা আল জব্বার এক সংবাদিকের প্রশ্নে বলেন- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কর্তৃপক্ষের নিকট আমরা অসহায়, কারণ তারা আমাদের এই দেশ থেকে পরিচালিত বা নিয়ন্ত্রণ হয় না। এটা একটা world-wide ব্যাপী সংস্থা।

কোন সরকারের নিকট এটার দায় বদ্ধতা নেই, ফলে চাইলেই যে কোন একটা কন্টেন ভিডিও বা কোন একটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচার-প্রচারণা রাষ্ট্রবিরোধী প্রচার-প্রচারণা ইত্যাদি প্রকাশিত কনটেন্ট সহজে বন্ধ করা যাবে এটা ভুল ধারনা।

বিটআরসি মন্ত্রীর এ কথার আলোকে বিশষজ্ঞদের মতামতের সাথে মিল রয়েছে। সামাজি বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন মতামতে দেখা যায় যে, কোন দেশের সরকারের পক্ষেই সেটা সম্ভব নয়।

শুধুমাত্র  যে সকল সাইটে নেতিবাচক ধারনা প্রচারিত হয় থাকলে তা যে পক্ষেরই হোক ওই পক্ষের কর্তৃপক্ষের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে জানালেই এটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কারণ সরকার ঐ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোর সাথে চুক্তি করেই অনুমতি দিয়েছে।  

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো নিজেরাই সকল কনটেন্ট মনিটরিং এর ব্যবস্থা রাখে। সামাজিক নৈতিক অবক্ষয় মূলক কনটেন্ট এর বিরুদ্ধে তারা নিজেরাই ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।

পারবে কি আটকাতে? বিশেষজ্ঞরা কি বলছেন?

যেসকল কনটেন্ট দেখার উপযুক্ত নয় কিংবা যে সকল কনটেন্ট মানুষের নৈতিক স্খলন হতে পারে সে সকল কনটেন্টগুলো নিজ থেকে তারা সরিয়ে দেয় অথবা সেখানে রিপোর্ট করার মত অপশন রয়েছে এই সকল প্রচারণার বিরুদ্ধে কেউ যদি ইতিবাচক রিপোর্ট করা হয় তাহলে সাথে সাথে সেই সাইট অটোমেটিকলি সাইবার রোবটিক সিস্টেমের মাধ্যমে বন্ধ করে দেয়া হয়।  

রাষ্ট্রীয়ভাবে এসকল সাইটের বিরুদ্ধে যতই ব্যবস্থা করা হোক না কেন একজন একাউন্ট হোল্ডার যে শুধুমাত্র একটি অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে তার নয় এ রকম সাইট একজন ব্যক্তি অনেকগুলো করতে পারে।

সরাসরি একটি লিংক কিংবা সাইটের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে না বরং এ বিষয়ে কেউ মিথ্যা প্রচারণা লিপ্ত থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।  

 বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী এটা কে যতই সরকার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবে ততই তার নতুন আপডেট বিকল্প তৈরি হয়ে যায় ফলে ঐ অ্যাপস এর বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে হলে সরকারকে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়।

সর্বশেষ - বিদেশে চাকুরি