পে-পাল এর বাধা কাটতে যাচ্ছে
বাংলাদেশেী ফ্রিল্যান্সারদের জন্য আসছে ডিসেম্বরেই সুখবর নিয়ে আসছে এতদিনের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে পে-পাল গেটওয়ে।
দেশের প্রায় ৬ লাখ তরুন ঘরে বসেই কাজ করছেন বহু আন্তর্জাতিক টেক টাইফুন হয়ে।
মূলত তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে ইন্টারনেটের ব্যবহার যেমন বেড়েছে ঠিক তেমনি বেড়েছে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যাও। কিন্তু সংখ্যার দিক দিয়ে ২য় অবস্থানে থেকেও আয়ের হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান ৮ম।
এক্ষেত্রে দক্ষতার সংকটের সঙ্গে মার্কেট প্লেসে ক্লায়েন্টদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে না পারার সীমাবদ্ধতাও রাখছে নেতিবাচক ভূমিকা। ঠিক এ জায়গাটিতেই পে-পালের অভাবে ভুগছেন বাংলাদেশের প্রিল্যান্সারগণ।
ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসে
এমনকি ডিজিটাল মার্কেট প্লেসে আন্তার্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ও সুরক্ষিত এ সেবাটি না থাকায় বেগ পেতে হচ্ছে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর নজরে আসতে।
প্রিল্যান্সার কামরুজ্জামান শিশির বলেন-সহজভাবে একজন ক্লায়েন্টকে ট্রাস্ট উঠতি ভাবে হেন্ডেল করতে পারিনা, দেখা যাচ্ছে ডিপারেন্ট কোন থ্রুতে ক্লায়েন্টের কম্পোট জোনের বাহিরে সে রকম কোন থ্রুতে পেমেন্ট করতে হচ্ছে। সেটা তাদের জন্য যেমন ঝামেলা তেমনি আমাদের জন্যও রিক্স থেকে যায়।
ফ্রিল্যান্সার অজন্তা মির্জা বলেন- দেখা যাচ্ছে আমরা অনেকবারই ক্লায়েন্টকে বলা লাগছে যে, আমাদের পে-পাল একাউন্ট নেই, সে ক্ষেত্রে আমাদের ক্লায়েন্টদের সাথে নিতে হচ্ছে লং টাইমের ব্যবস্থা।
সে কারনে অনেক ক্লায়েন্ট আমরা হারিয়ে ফেলি। বাংলাদেশে যদি সত্যিই ডিসেম্বরে পে-পাল চলে আসে তাহলে আমরা আর এসব বড় বড় ক্লায়েন্টদের হারাবো না।
পে-পাল একাউন্ট হলে ডাইরেক্ট আমরা সেবা নিতে ও দিতে পারছি, সেক্ষেত্রে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ক্লায়েন্টকে আনতে হচ্ছে না। বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরুর ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের প্রচলিত কিছু আইন কানুনকে এতদিন বাধা হিসেবেই মনে করত পে-পাল।
নুতন আইন পাশ
তবে সম্প্রতি নতুন একটি আইন করে সেই অনিশ্চয়তা দুর করা হচ্চে বলে মনে করছে ফ্রিল্যান্সার সোসাইটি। ২০১৮ সালের অক্টোবরের ২১ তারিখ নতুন একটি আইন তৈরী করা হয়েছে অনলাইন গেটওয়ের উপরে।
যেন স্পেশালভাবে পে-পালকে নিয়ে আসা যায়। যার ফলে পে-পাল আসার যে বিশাল প্রতিবন্ধকতা ছিল এটা চলে গিয়েছে। তবে কিছু শর্ত সাপেক্ষে নিয়ে আসা হচ্ছে যেন আমাদের দেশের জন্য সুবিধা এবং ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সবচেয়ে বড় পাওয়া।