রবিবার , ৪ জুলাই ২০২১ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. Jobs News
  2. TOP JOBS
  3. অনলাইন টিউটরিয়াল
  4. অপরাধ সংবাদ
  5. ইপিজেড নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
  6. গার্মেন্টস্ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
  7. গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. পরীক্ষার ফলাফল
  10. বিদেশে চাকুরি
  11. বিভাগীয় সংবাদ
  12. বেসরকারি চাকুরি
  13. ভাইরাল সংবাদ
  14. ভিডিও
  15. শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ

জাতীয় সংসদে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দিপু মণি শিক্ষার্থীদের নিয়ে কি বলেছেন?

প্রতিবেদক
বাংলা সার্কুলার
জুলাই ৪, ২০২১ ৬:৪০ অপরাহ্ণ
https://banglacircular.com/

‘‘পৃথিবীর এমন কোন পেশার মানুষ নেই, এমন কোন জায়গা নেই, যেখানে ভালো মানুষের পাশাপাশি কিছু বিপথগামী মানুষ থাকে না’’ শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দিপু মনি

গত ৩০ জুন জাতীয় সংসদের সাধারণ অধিবেসনে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দিপু মনি বর্তমান শিক্ষা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জন্য যে তথ্য তুলে ধরেছেন তা হুবহু পাঠকদের জানার জন্য তুলে ধরা হলো।

তিনি শুরুতে প্রধানমন্ত্রী ও স্পীকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁর বক্তব্য  শুরু করেন। মন্ত্রী বলেন আসলে দীর্ঘ আলোচনা হচ্ছে আমার হয়তো বলার আর সময় টা সংক্ষিপ। সেই কারণে সকলের হয়ত সব প্রশ্নের আলাদাভাবে উত্তর দেয়া সম্ভব হবে না। কিন্তু আমরা এতক্ষণের আলোচনায় মাননীয় সংসদ সদস্যরা যে বিষয়গুলো উত্থাপন করেছেন সেগুলো কে খুব সংক্ষেপে বলবার চেষ্টা করব।

জাতীয় সংসদে শিক্ষামন্ত্রী কি বলেছেন?

প্রথম কথাঃ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে

মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব ফিরোজ রশীদ সাহেব যে কথাটি বলেছেন অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমাদের নানা কাজে যখন বাহিরে যেতে হয়  সেক্ষেত্রে যখনই কোনো অভিভাবকের সঙ্গে আমার দেখা হয় যাদের সন্তানেরা স্কুল-কলেজে পড়ছে তাদের সঙ্গে যখন আমি কথা বলি, তাদেরকে যখন আমি জিজ্ঞেস করি অনেকেই বলছেন খুলে দেন।  খুলে দিলে আপনি আপনার সন্তানকে স্কুলে  পাঠাবেন কিনা? তাদের এক বাক্যে এখন পাঠাবোনা। এই করোনার মধ্যে আমি আমার সন্তানকে মেরে ফেলার জন্য স্কুলে পাঠাতে রাজি না। একে বাবা মায়ের একেক ধরনের এক্সপেশন থাকে এটাই স্বাভাবিক।

বিজ্ঞান বলছে- শতকরা ৫ভাগ এর নিচে না নামলে প্রতিষ্ঠান খোলা নয়

কিন্তু মনে রাখতে হবে আমাদের বিজ্ঞানকে নিয়ে চলতে হবে। বিজ্ঞানকে অস্বীকার করে চলতে পারিনা।  বিজ্ঞান যেখানে বলছে শতকরা ৫ ভাগ সংক্রমণের হার বা তার নিচে নামা পর্যন্ত শিক্ষা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাস্থ্যসম্মত নয় বিজ্ঞানসম্মত নয়। যেখানে প্রায় ২৪ ভাগ এবং কোন কোন জেলায় ৫০ বা তার উর্ধে করোনা আক্রান্ত, সেই সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি আদৌ কোনো যৌক্তিকতা আছে কিনা এটি অবশ্যই ভেবে দেখার প্রয়োজন আছে।  কারণ এই সংসদ এই জাতির সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

দ্বিতীয় কথাঃ প্রতিষ্ঠঅন খোলার প্রশ্নটা একেবারেই অবান্তর

সারাবিশ্বের যদি অভিজ্ঞতা দেখি আরো অনেক কিছু বলা যায়। কিন্তু বাস্তবতা এটি যে বিশ্বের একেবারে উন্নত দেশগুলো যারা বিভিন্ন সময়ে খোলার চেষ্টা করেছে আবার খোলার পর এই সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। উন্নত দেশগুলো যেখানে শিক্ষার্থী প্রায় কুড়ি পঁচিশ এর বেশি নয়।  আর আমাদের এখানে দেশের একেবারে যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির জন্য উন্মুখ থাকেন সেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেখবেন শিক্ষার্থীরা গায়ে গায়ে লেগে থাকে সেখানের খোলার প্রশ্নটা একেবারেই অবান্তর 

তৃতীয়তঃ এই রেজাল্ট সম্পূর্ণ স্বযোজ্যপূর্ণ  

পাবলিক পরীক্ষা গুলোর কথা পাবলিক পরীক্ষা বিশ্বের বহু দেশ এবং উন্নত দেশগুলো তারা পাবলিক পরীক্ষা গুলো বাতিল করেছে।  বাতিল করে কোন জায়গায় ট্রেডিকটেড গ্রেড দিচ্ছে। আমরা সেখানে কি করছি, আমরা ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে ফেলেছিলাম করোনার মধ্যেও।  ফলাফল প্রকাশ করতে পেরেছি।  ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার ঠিক দু-তিন দিন আগে বন্ধ করতে আমরা বাধ্য হই এই পরীক্ষাটি। এরপর আমরা তাদের এসএসসি এবং জেএসসি রেজাল্টের ভিত্তিতে সেই রেজাল্টগুলো দিয়েছিলাম। সেই রেজাল্ট দেবার আগে আমরা যখন সব টাণী করে দেখি তখন তার আগের পূর্ববর্তী তিন বছরের এইচএসসি রেজাল্ট  তাদের রেজাল্টের সঙ্গে তাদের জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট দেখেছিলাম। সেই অনুযায়ী তাদের এইচএসসি রেজাল্ট হয়েছে আমাদের এই রেজাল্ট দিয়ে সম্পূর্ণ স্বযোজ্যপূর্ণ  অর্থাৎ এই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একই ফলাফল তাদের হত। কাজেই তারা কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তারা সব পড়াশুনাও করেছিল পূর্ণ প্রস্তুতিও ছিল। 

এ বছর শিক্ষার্থীদের কি হবে?

মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী দিপু মণি বলেছেন যে, এ বছর আমরা সিদ্ধান্ত খুব শিগগির জানাবো।  কি পদ্ধতিতে আমরা করব সব কিছু জানাবো, তবে শিক্ষার্থীদের কে অভিভাবকদেরকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত খুব শিগগির জানাবো।  কি পদ্ধতিতে আমরা করব সব কিছু জানাবো।  তবে শিক্ষার্থীদের কে অভিভাবকদেরকে সবাইকে বলব- উদ্বীগ্ন হবেন না।  বৈশ্বিক সংকট চলছে, সে সংকট মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সকল ক্ষেত্রে যেভাবে আমরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি একইভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রে এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া সেক্টর এর একটি।  সেখানে অবশ্যই আমরা প্রজ্ঞা এবং সমস্ত রকমের বুদ্ধি ও যা কিছু আছে জ্ঞান আছে তার সবকিছু সর্বোচ্চ প্রয়োগ করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব যাতে আমাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন সারাবিশ্বেই ব্যাত্যয় ঘটেছে আমাদের এখানেও কিছুটা ব্যাত্যয় ঘটেছে।কিন্তু তাদের যেন কোনো দীর্ঘমেয়াদি কোন ক্ষতি না হয়ে যায় সেই বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ নজর রাখছি। 

শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, মাননীয় স্পিকার আমাদের যে জাতীয় পরামর্শক কমিটি রয়েছে Covid 19 সংক্রান্ত। আমরা তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেও কিন্তু আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকি। বিকল্প পদ্ধতিতে আমরা দ্রুত সময়ে পাঠদান শুরু করেছি সেটি বিশ্বে আর কোথাও এত দ্রুত শুরু করেনি এবং কি উন্নত বিশ্বেও না। যে কারণে সারা বিশ্বে এখন শিক্ষা নিয়ে যখন যেখানে কোনো সভা হয় সেখানে বাংলাদেশের দ্রুততম সময়ে অনলাইনে এবং টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠদান শুরু করাটিকে সারা বিশ্বে প্রশংসা করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মাননীয় স্পিকারের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ আমাদেরকে সংসদ টেলিভিশন ব্যবহার করবার আপনাদের সদয় অনুমোদন দেয়ার কারণেই আমরা এ কাজটি এত দ্রুততার সঙ্গে করতে পেরেছি।  

অ্যাসাইনমেন্টঃ  ৯২ ভাগ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে

নানান ধরনের জরিপ আন্তর্জাতিক সংস্থা দেশীয় সংস্থা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার জরিপে বলছে ৪৫ থেকে ৮০ ভাগ পর্যন্ত অনলাইন বা টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠদান গ্রহণ করতে পারছে। আমরা যদি একেবারে সর্বনিম্ন ধরে নেই যে শতকরা ৪৫ ভাগ পারছে। আমরা সেটাকে ধরে নিয়ে আমরা হিসাব করেছিলাম এটা কি করে বাড়াবো আমরা সেই বাড়াতে গিয়ে আমরা অ্যাসাইনমেন্টের পদ্ধতিতে গেছি।  অ্যাসাইনমেন্ট এর ৯২ ভাগ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে সারা দেশে এবং এটিই স্বাভাবিক সময়ে এর থেকে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীর স্বাভাবিক পাঠক্রমে অংশগ্রহণ করে না। অতএব আমরা অ্যাসাইনমেন্ট এর মাধ্যমে স্বাভাবিক সময়ের কাছে একদম যার কাজ তাতে আমরা পৌঁছে যেতে পেরেছি। অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে শিক্ষার্থীরা সারাক্ষণই আমাকে এখন তারা সারাক্ষণ মেসেজ পাঠাচ্ছ ইমেইল পাঠাচ্ছে।  অ্যাসাইনমেন্ট এর ব্যাপারে শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সভার মধ্যে আমি দেখেছি তাদের মধ্যে একটু সন্তুষ্টি আছে।  এই পদ্ধতিতে সবাই ভালো বলে এটা গ্রহণ করেছেন।  আমরা এবং বিশেষজ্ঞরাও এ ব্যাপারে অত্যন্ত ইতিবাচক মতামত দিয়েছেন।  আমরা বিশেষজ্ঞদের সম্পৃক্তির মাধ্যমে সেই সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করছি। 

শিক্ষকরা কষ্টে আছেঃ

আমাদের শিক্ষকরা কষ্টে আছে বিশেষ করে ননএমপিও শিক্ষকরা শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রনোদনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তিনি দিয়েছেন। অনেকের সঙ্গে টেলিফোন নাম্বার নিয়ে কিছু সমস্যা থাকার কারণে সেখানে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে কিন্তু যাদের সমস্যা নেই তারা টাকা পেয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী যাদের কোন ডিভাইস নেই তাদেরকে ডিভাইস কেনার জন্য সফট লোন দেয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবন রয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এগুলোর জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছেন। সেগুলো কে সংস্কার করা হয়েছে এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে মাননীয় স্পিকার আপনার মাধ্যমে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই । 

ধান কাটার জন্য মাঠে যাচ্ছে কিন্তু ক্লাসে  যাচ্ছে না কেন?

আমাদের শিক্ষার্থীরা এই সময়টাতেই অনলাইন পাঠদান পদ্ধতি তার পাশাপাশি তারা বিভিন্ন ধরনের ধান কাটা প্রায় 10 হাজার একর জমির ধান কাটার কাজেও কিন্তু সহায়তা করেছে গত বছর। এখন আপনারা বলতে পারেন ধান কাটার জন্য মাঠে যাচ্ছে কিন্তু ক্লাসে  যাচ্ছে না কেন? ক্লাসের মধ্যে যে ভাবে তাদের এক্সপোজ হতে পারে এবং যে ভাবে সংক্রমন ছাড়াতে পারে।

শিশুর মাধ্যমে সংক্রমন ছড়ানোর সম্ভাবনা অনেক বেশিঃ

অনেকেই বলেছেন শিশুদের ইমুউনিটি  বেশি  এ কথাটি যেমন বলছেন, শিশুরা কম সংক্রমিত হচ্ছে। শিশুর মাধ্যমে ছড়ানোর সম্ভাবনা অনেক বেশি। তারা নিজেরা হয়তো আক্রান্ত হয়ে নিজেদের চিন্তা মনে থাকবে না, কিন্তু তারা বাড়িতে গিয়ে তাদের বাবা-মা সহ যৌথ পরিবার বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে সেখানে তাদের সকলের সংক্রমিত হওয়ার একটা বিরাট বড় একটা আশঙ্কা রয়েছে।  সেটিকে কিন্তু মাথায় অবশ্য অবশ্যই রাখতে হবে।

আমরা শিক্ষার্থীদের কে কমিউনিটি এংগেজমেন্ট এক্সপেরিয়েন্সিং লার্ণিং এগুলোর মাধ্যমে আমরা শিক্ষাদানের নানান রকমের ব্যবস্থা করছি। শিক্ষার্থীদের শারীরিক মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি তুলেছেন,  আমরা এই সময়টাতেই অনলাইনে করছি সেখানেও আমরা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টাকে লক্ষ্য রেখে নানান ধরনের শিক্ষা উপকরণ সেখানে ব্যবহার করছি। আর আমরা এই সময়টাতে আমাদের দেশের প্রায় 2 লক্ষ শিক্ষক কে কাউন্সিলিংয়ের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।  প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্ততপক্ষে 2 জন কাউন্সেলিংয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক থাকবেন।  শিক্ষার্থীরা বয়সন্ধিকালীন তাদের নানান ধরনের সামাজিক পারিবারিক অনেক রকম চাপের মধ্যে থাকে, অনেক রকমের মানসিক সমস্যা হয়। সেই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য আমরা কাজ করছি।

শিক্ষার্থীদের জন্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞঃ

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তিনি অনেক আগে বলেছিলেন যে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ মনোবিশেষজ্ঞ আর তাদেরকে এই কাজে যুক্ত করবেন আমরা প্রক্রিয়া শুরু করেছি।  অন্ততপক্ষে প্রতি জেলায় একজন করে এই এইরকম একজন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেয়া হবে এর পরে তারা আবার একেবারে উপজেলা ইউনিয়ন পর্যায়ে আমাদেরকে এ ব্যাপারে প্রশিক্ষিত করবেন।  

আমরা শাহানা কার্টুন তৈরি করেছিলাম সেটি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে উদ্বোধন কা হয়েছি।  প্রতি সপ্তাহে বাচ্চার এগুলো দেখবে। তার মধ্য দিয়ে শিশু অধিকার বয়সন্ধিকালীন স্বাস্থ্য ও বাল্যবিবাহ নিরোধ নারীর প্রতি সহিংসতা নিরোধে সামাজিক সমস্যাগুলো তারা বিভিন্ন নাটক বা কাহিনী দেখার মধ্য দিয়ে সেগুলো শিখবে।  আমরা যখন স্কুল খুলব তখন আরো বেশি সেটি দেখতে পাবে।  

শিক্ষার্থীদের জন্য যে জেনারেশন ব্রেকথ্রু। তা স্বল্পসংখ্যক প্রতিষ্ঠান চালু করা হয়েছিল। সেটি আমরা যখন প্রতিষ্ঠানগুলো খুলবো প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই কর্মসূচি চালু হবে। বইপড়া কর্মসূচির প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে চলবে। অনেকেই কর্মসংস্থানের কথা বলেছেন আমরা

এখন শুধুমাত্র পাঠক্রমে যা পড়াচ্ছিলাম তা নয় তার সঙ্গে সফট স্কীলস, এমোশনাল অন্ড সোশাল স্কিলস যেগুলো দিয়ে কর্মসংস্থান এবং নিজে কর্ম উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরী হতে পারবে সেই স্কীলগুলো শেখানোর সমস্ত কাজ আমরা এখন হাতে নিয়েছি। সেগুলোর কাজ শুরু হয়ে গেছে এবং সেগুলো আমাদের একেবারে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে চিঠি দেয়া হবে এ জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় একযোগে আমরা কাজ করছি। 

মাল্টিমিডিয়াকে স্মার্ট টিভি দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হবে

একজন সদস্য মাল্টি মিডিয়া নিয়ে দূর্ণীতির অভিযোগ করেছে, প্রকল্পটি যেন টেকসই হয় সেজন্য মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর অনেক ক্ষেত্রে দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় সেজন্য স্মার্ট টিভি দিয়ে এটিকে প্রতিস্থাপন করা যাতে খরচ কম হবে কিন্তু এটি বেশি টেকসই হবে এবং একই ধরনের কাজ করা যাবে সেই জন্যই প্রকল্পটিকে আমরা নূতন করে পুনর্ঘঠন করছি।  পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর আমরা পুরোপুরি ডিজিটাল করতে যান সেখান থেকে আমরা দুর্নীতি দূর করতে পারি। এ ১০টি স্কুল প্রকল্প নিয়ে বলা হয়েছে, এটির অবস্থা প্রায় পদ্মা সেতুর মত। কারণ হচ্ছে এখানে জেলা প্রশাসন থেকে প্রাক্কলন দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেই প্রাক্কলন যখন শিক্ষামন্ত্রণালয় এসেছে আমরা এগুলো দেখে বলেছি যে এই মূল্য হতে পারে না অতএব সেটিকে বাতিল করে দেয়া হয়েছে। কাজেই এখানে জেলা প্রশাসনের কারো হয়তো অভিপ্রায় থেকে থাকতে পারে দুর্নীতি হয়নি কোনো এক টাকা পয়সা এদিক-ওদিক যায়নি। আপনাদেরকে আমি নিশ্চিত করতে পারি।

ভিসি নিয়োগ

শিক্ষা মন্ত্রী বলেছে এ ব্যাপারে আমরা ব্যাপকভাবে আলাপ-আলোচনা করে নানান অনুসন্ধান করে তারপরে নিয়োগ দেই। এটা মনে রাখতে হবে ‘‘পৃথিবীর এমন কোন পেশার মানুষ নেই এমন কোন জায়গা নেই যেখানে ভালো মানুষের পাশাপাশি কিছু বিপথগামী মানুষ থাকে না’’। এমন নয় কোন মানুষ আপনি ভালো ভেবে কাউকে দিলেন তিনি ভুল করতে পারে, অনেক সময় কাজে অন্যায়-অপরাধ কোথাও ঘটতে পারে। তবে বিবেচ্য বিষয় যে অন্যায় অপরাধেএর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কিনা?  ইউজিসির আমরা এ কারণেই সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চাচ্ছি এবং সেখানে যে কোন  ধরনের সমস্যা আছে সেগুলোর সাথে সাথেই আমরা তদন্ত করছি এবং তদন্ত করে আমরা অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।  কোথাও কোথাও ইতোমধ্যেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। 

সর্বশেষ - বিদেশে চাকুরি

আপনার জন্য নির্বাচিত