সরকারি হাসপাতাল সমূহে রোগীদের সেবার মান বাড়াতে প্রিএসসির মাধ্যমে আরো ৮৫৩৪ জন নার্স নিয়োগ দেবে সরকার
করোনার পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ অবস্থার দিকে যাচ্ছে বিধায় সরকারি হাসপাতাল সমূহে রোগীদের সেবার মান বৃদ্ধিতে স্টাফ নার্স নিয়োগ দিচ্ছে সরকার। এ জন্য বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে কম সময়ে আলাদা ভাবে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) এর মাধ্যমে নার্স নিয়োগের জন্য এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে এ সব নিয়োগের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও পিএসসির একাধিক উদ্ধতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। খবর দৈনিক প্রথম আলো।
নিয়োগের চাহিদাপত্র পিএসসির নিকট
বিশ্বস্ত সূত্রে ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নার্স নিয়োগের তথ্য সম্পর্কে জানা যায়, গত বছর মার্চে প্রকাশিত স্টাফ নার্স নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে ২৫০০ জনকে নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু গত বছরের করোনা পরিস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় সেই বিজ্ঞপ্তি আলোকে দরখাস্তকারীদের মধ্য হতে ৪ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।সেই নিয়োগ প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়নি।কিন্তু করোনা পরিস্থিত দিন দিন আরো বাড়তে থাকায় সরকারি হাসপাতাল সমূহের সেবার মান বাড়াতে এর চাইতে ডাবল নার্স নিয়োগ প্রদান করার সুপারিশ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ৮ হাজার ৫শত ৩৪ জন স্টাপ নার্স নিয়োগের চাহিদাপত্র পিএসসির নিকট গত বুধবার এসেছে।
আরো খবর দেখতে থাকুনঃ
- Skilled people are required for the post of Carpenter
- চলতি মাসেই আসছে এনটিআরসিএ এর গণবিজ্ঞপ্তি
- শিল্প মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
- বাংলাদেশ পুলিশ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
- বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন্ড অফিসার পদে নিয়োগ
পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনাইন বলেন (প্রথম আলো)
নার্স ও চিকিৎসক নিয়োগে সরকারের বিশেষ তাগিদ রয়েছে। এ জন্য সর্বাধিক গুরুত্ব ও অগ্রাধিকার দিচ্ছি আমরা এটিকে। তিনি আরো জানান সরকার যে পরিমান স্টাপ নার্স নিয়োগ দিতে চাচ্ছে সে পরিমান যোগ্য প্রার্থী পিএসসির নিকট থাকে তাহলে নিয়োগ দিতে কোন সমস্যা হবে না। সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অধীন সিনিয়র স্টাপ নার্স পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা বিদ্যমান পরিস্থিতি ও চলমান লকডাউনের কারণে স্থগিত করেছে পিএসসি। পরীক্ষার তারিখ পরবর্তীতে পিএসসির ওয়েবসাইটসহ জাতীয় ও অনলাইন পত্রিকা সমূহে প্রকাশ করা হবে। ২০২০ সালের ১লা মার্চ তারিখে সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সেখানে পদের সংখ্যা বলা হয়েছিল ২ হাজার ৫০০ জন।
আবেদন পক্রিয়া শেষে প্রার্থীদের এমসিকিউ পরীক্ষা গত ২৮ জানুয়ারী তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর ২১টি প্রতিষ্ঠানে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরবতীতে ২৮ ফেব্রুয়ারী তারিখে এমসিকিউ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে পিএসসি। লিখিত পরীক্ষার জন্য গত ১০ এপ্রিল তারিখ ঘোষণা করে পিএসসি। তবে করোনার প্রভাব ও ডেল্টা ভাইরাস মারাত্মক আকার ধারন করায় এ লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করেছিল। সেই লিখিত পরীক্ষার পুনঃ নির্ধারিত সূচী প্রকাশ করেছে পিএসসি। এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রায় ১৫ হাজার প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষা করোনার কারণে মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। নার্স ও চিকিৎসক নিয়োগ সরকারের সর্বোচ্চ তাগিদ রয়েছে। এ জন্য আমরা এটিকে অনেক গুরত্ব সহকারে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। —— পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন।
যেভাবে হবে নির্বাচন প্রক্রিয়া
প্রার্থীগণ ১০০ নম্বরের (এমসিকিউ) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়েছে। এ পরীক্ষায় ১০০টি প্রশ্ন ছিল। পরীক্ষার সময় ছিল ১ ঘন্টা। প্রশ্ন ছিল বাংলা, ইংরেজী, সাধারণ জ্ঞান, গণিত ও দৈনন্দিন বিজ্ঞান বিষয়ের উপর। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১নম্বর ও ভুল উত্তরের জন্য ০ দশমিক ৫ নম্বর কাটা হয়েছে। এমসিকিউ পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণদের লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে ৪ ঘন্টার। শুধুমাত্র লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরাই মৌখিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারবে।
নিয়োগ, শিক্ষা সংবাদ, এ্যাসাইনমেন্ট, চাকুরি, বিজ্ঞপ্তি, টেন্ডারসহ যাবাতীয় সকল সংবাদ বা বিজ্ঞপ্তিসমূহ সবার আগে জানতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন। এ সংবাদ বা বিজ্ঞপ্তিটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে লাইক বা শেয়ার দিন।